আগস্ট ২৩, ২০২০
আশাশুনিতে ভেঙে পড়েছে খাদ্য পানি স্যানিটেশন বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, পানি বন্দি কয়েক হাজার মানুষ
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, শ্রীউলা ও আশাশুনি সদরে আম্পানে ভেড়ী বাঁধ ভাঙনের পর বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ও প্রচুর বৃষ্টিপাতের প্রভাবে রিং বাঁধ ভেঙে ৮০ সহ মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। এলাকার খাদ্য, সুপেয় পানি, স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকায় হাহাকার বয়ে যাচ্ছে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়া ও বিদ্যুৎ না থাকায় যোগাযোগের অভাবে মানুষ বিচ্ছিন্ন দীপে বসবাসের মত বসবাস করছে। ৩ মাস আগে ইউনিয়ন ৩টির একাধিক স্থানে আম্পানের তান্ডবে ভেড়ী বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে মানুষ ঘরবাড়ি, মৎস্য ঘের, ফসল, সহায় সম্পদ হারিয়ে করুন পরিণতির সাথে যুদ্ধ করে কোন করে বেঁচে ছিল। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে কমপক্ষে ৩/৪ ফুট বেশি উঁচু হয়ে রিং বাঁধ ভেঙে ইউনিয়ন ৩টির নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করে। রবিবার পর্যন্ত প্রতাপনগর ইউনিয়নের (সম্পূর্ণ) ১৭টি গ্রামের ৩৬ সহ মানুষ, শ্রীউলা ইউনিয়নের (সম্পূর্ণ) ২২টি গ্রামের ৩৭ সহ মানুষ এবং আশাশুনি সদর ইউনিয়নের আংশিক ৯ টি গ্রামের প্রায় ৭ হাজার মানুষ প্লাবিত হয়। প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের মানুষ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র, স্কুল, বাড়ির ছাদ, রাস্তার উপর পলিথিন দিয়ে ছেয়ে বসবাস করছেন। অনেকে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। পুরো এলাকার সড়ক ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। খাদ্য সংকট ও সুপেয় পানির অভাব প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পশু পাখির বসবাস ও খাদ্য জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কাচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। কাদাকাটি প্রতাপনগর সড়কের আনুলিয়া থেকে প্রতাপনগর এবং আশাশুনি শ্রীউলা সড়কের অর্ধেকের বেশি পানি নিমজ্জিত ও সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে থাকায় ভঙ্গস্তুপে পরিণত হয়েছে। পানি আটকানো সম্ভব না হওয়ায় পানি পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের দিকে ক্রমেই ধাপিত হচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। শ্রীউলা ইউনিয়নে ৭২ মে. টন ও প্রতাপনগর ইউনিয়নে ১৩ ও ২৫ মে. টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মূল বাঁধ নির্মাণের কাজ এখনই শুরু সম্ভব না হলেও দ্রæত রিং বাঁধ আটকে এলাকাবাসীকে রক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসক ঘোষণা দিয়েছেন। এসময় প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন, শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল ও আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন এসময় তাদের সাথে ছিলেন। 8,435,662 total views, 9,076 views today |
|
|
|